অল্প বয়সে চুল পড়ার কারণ | teenage hair loss

অল্প বয়সে চুল পড়ার কারণ  | teenage Hair Loss

অল্প বয়সে চুল পড়ার কারণ  | teenage Hair Loss


অল্প বয়সে চুল পড়ার কারণ- সব বয়সের মানুষেরই কম বেশী চুল পড়ে থাকে। তবে চুল পড়ার মাত্রা খেয়াল করতে হবে। প্রতিদিন ১০০ টি চুল পড়া স্বাভাবিক। কিন্তু বর্তমানে অল্প বয়সে চুল পড়ে যাওয়া কিংবা মাথায় টাক পড়ে যাওয়া খুব কমন হয়ে গেছে। ঘন চুল একটি মানুষের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে।

অল্প বয়সের ছেলে মেয়েরা খুব চিন্তায় পড়ে যাচ্ছেন কেন অল্প বয়সে চুল পড়ে যাচ্ছে? অল্প বয়সে চুল পড়ার কারণ কি? আজকে sabkichu.com থেকে আলোচনার বিষয় হোল অল্প বয়সে চুল পড়ার কারণ। এবং এর সাথে আরও থাকছে অতিরিক্ত চুল পড়ার সমাধান,

চুল পড়া বন্ধ ও ঘন করার উপায়, কত বছর বয়স পর্যন্ত চুল গজায়, চুল পড়ার কারণ ও প্রতিকার, মেয়েদের চুল পড়ার কারণ ও প্রতিকার, অল্প বয়সে ছেলেদের চুল পড়ার কারণ।

এখন আমরা আলোচনার শুরুতেই চলে আসি, অল্প বয়সে চুল পড়ার কারণ নিয়ে।

অল্প বয়সে চুল পড়ার কারণ- দিন দিন চুল পাতলা হয়ে যাচ্ছে, কিংবা মাথায় টাক পড়ে যাচ্ছে। বর্তমান সময়ে এই সমস্যা নেই এরকম লোক খুজে পাওয়া কঠিন।

বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন অল্প বয়সে চুল পড়ার কারণ হতে পারে অতিরিক্ত মানসিক স্ট্রেস, এছাড়াও  অবৈজ্ঞানিক উপায়ে ডায়েটিং ও অপুষ্টি,  চুল ঝরে যাওয়ার অন্যতম কারণ হতে পারে।

তাছাড়াও পরিবেশ দূষণ, চুলে ব্যবহৃত বিভিন্ন ক্যামিকেল, হাই পাওয়ার মেডিসিন, সঠিক উপায়ে চুলের পরিচর্যা না করা, এই সবকিছুই চুল পড়ে যাওয়ার কারন হতে পারে।

আরও পড়ুন......

অতিরিক্ত চুল পড়ার সমাধান

অতিরিক্ত চুল পড়ার সমাধান- অল্প বয়স্ক বা বেশী বয়স্ক, ছেলে অথবা মেয়ে, যে কারোরই  অতিরিক্ত চুল পড়তে পারে। আমাদের চুল কেরাটিন দিয়ে তৈরি যার ৯৭ শতাংশ প্রোটিন ও ৩ শতাংশ পানি। এই কেরাটিনের পরিমান যখন কমে যায় তখন দিনে দিনে আপনার চুল উজ্জলতা হারায়,  চুলের ডগা ফেটে যায়, চুল হয়ে পড়ে নিষ্প্রাণ। আর এই সমস্যা থেকে বাঁচতে আমাদের চুলের জন্য কিছু বাড়তি যত্নের দরকার হয়। এবং আপনি চাইলেই একটু সময় বের করে  অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধের ঘরোয়া সমাধান পেতে পারেন। শুধু মেয়েরা নয় যারা ছেলেদের অতিরিক্ত চুল পড়ার সমাধান অথবা ছেলেদের চুলের যত্ন কীভাবে নিতে হয় অথবা বিভিন্ন hair care tips পেতে চান তারাও আমাদের নিচে উল্লেখিত  hair care tips এবং অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধের ঘরোয়া সমাধান দেখতে পারেন। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।

চুলের সাধারণ সমস্যায় অলিভ অয়েলের ব্যবহার, আলুর রসের হেয়ার প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। এটি চুল পড়া কম করবে, চুল দ্রুত বাড়বে, সেইসাথে চকচকে ও মজবুত করবে। আর চুল পড়া বন্ধ করতেও আলুর রস ভালো কাজ করে।

আলুর রসের হেয়ার প্যাক


আলুর রসের হেয়ার প্যাক

আসুন জেনে নেই আলুর রস কীভাবে ব্যবহার করতে হয় -

১।  অর্ধেক আলুর রস এবং ২ টেবিল চামচ নারকেল তেল মিশিয়ে চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করুন। একটি হালকা শ্যাম্পু ব্যবহার করে ৩০ মিনিট পরে ধুয়ে ফেলুন।

২।  ৩টি আলু রস করে একটি ডিমের কুসুম এবং ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি সমস্ত চুলে ভালোভাবে  প্রয়োগ করুন। ৪০ মিনিট পর ভেষজ শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন

৩।  চুলের গোড়ায় আলুর রস লাগিয়ে কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করে অপেক্ষা করুন। আধা ঘণ্টা পর কুসুম গরম পানি ও শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

৪।  একটি আলু এবং একটি পেঁয়াজের রস একসঙ্গে মেশান। মিশ্রণটি চুলের গোড়ায় লাগান। ২০ মিনিট পর ভেষজ শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

আরও পড়ুন......

চুল পড়া বন্ধ ও ঘন করার উপায়

চুল পড়া বন্ধ ও ঘন করার উপায় সম্বন্ধে জানতে হলে  চুল কিভাবে ঘন করা যায় | get thicker hair এই আর্টিকেলটি পড়ে আসতে পারেন। চুল পড়া বন্ধ ও ঘন করার উপায় নিয়ে এই আর্টিকেলে বিষদ আলোচনা করা হয়েছে।¬


কত বছর বয়স পর্যন্ত চুল গজায়

কত বছর বয়স পর্যন্ত চুল গজায়


অনেকেরই জানার আগ্রহ থাকে যে, কত বছর বয়স পর্যন্ত চুল গজায়। 

প্রতিটি চুলের বয়স থাকলেও মাথায় চুল গজানোর কোন বয়স থাকে না। চুলের বয়স সাধারনত ৪ থেকে ৬ বছর হয়ে থাকে তারপর সেটা ঝরে যায় এবং সেখানে নতুন চুল গজায়। এভাবে প্রতিদিন আপনার মাথা থেকে ৮০ থেকে ১০০ চুল ঝরে যায় আবার ৮০ থেকে ১০০ চুল সেখানে তৈরি হয়। সুতরাং আপনার শারীরিক বয়সের উপর চুল গজানো নির্ভর করে না। এখন প্রশ্ন আসতে পারে তাহলে যাদের মাথায় টাক পড়ে গেছে সেক্ষেত্রে কি হতে পারে?

মাথায় তখনই টাক পড়ে যখন হেয়ার ফলিকলগুলো মরে যায়। আমাদের হেয়ার ফলিকল বিভিন্ন কারনে ডেমেইজ হয়ে যায়। তখন সেই ক্ষেত্রে আর চুল গজায় না। কিন্তু যতদিন আপনার হেয়ার ফলিকল বেঁচে থাকে ততদিন পর্যন্ত আপনার পুরাতন চুল পড়ে আবার সেখানে নতুন চুল গজাবে। এটি নিয়ে আরও ডিটেইলস জানতে চাইলে নিচের  ভিডিওটি দেখে নিতে পারেন। ভিডিওতে এই ব্যপারে ভালোভাবে আলোচনা করা হয়েছে।



অল্প বয়সে চুল পড়ার কারণ | teenage Hair Loss


চুল পড়ার প্রতিকার

সবশেষে আলোচনা করছি চুল পড়ার প্রতিকার নিয়ে

চুল পড়া বা টাক বংশগত হলে কিছুই করা যায় না। স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে। সেক্ষেত্রে রক্ত পরীক্ষার প্রয়োজন হতে পারে। আবার ভিটামিন এ, আয়রন, থাইরয়েডের পরিমাণও পরীক্ষা করা হয়। এই ক্ষেত্রে যা করতে হবেঃ

  • নিয়মিত চুল ব্রাশ করুন।
  • সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার শ্যাম্পু করুন। শ্যাম্পু ব্যবহারের আগে চুলে তেল দেওয়া ভালো।
  • ভেজা চুল আঁচড়াবেন না।
  • অতিরিক্ত ব্লিচিং বা ডাইং এড়িয়ে চলুন।
  • চুল ভেঙ্গে গেলে ছেঁটে ফেলা।
  • স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, ডায়েট করার আগে একজন ডায়েটিশিয়ানের পরামর্শ নিন।
  • চিন্তামুক্ত হতে পারলে ভালো হয়।
  • পেঁয়াজের রস লাগিয়ে ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এতে মাথার ত্বকে ছত্রাকের সংক্রমণ কম হবে।
  • মেহেন্দি পাতা মাথার ত্বকে লাগাতে পারেন। এটি চুলের গোড়াও মজবুত করে।
  • চুলের জন্যও অ্যালোভেরা খুবই কার্যকরী। অ্যালোভেরা জেল লাগান এবং ১৫-২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
  • মসুর ডাল মাথায় লাগালে মাথার ত্বক সুস্থ থাকে।
  • মেহেদি পেস্ট, পেঁয়াজের রস, নিম পাতার পেস্ট, লেবুর রস, টক ক্রিম একসঙ্গে মিশিয়ে ৩০-৪০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি খুশকি দূর করে।
আমাদের আর্টিকেলটি ভালো লাগলে শেয়ার করুণ। কিছু জানার থাকলে নিচে কমেন্ট করতে পারেন।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url