ছেলেদের চুলের যত্ন কীভাবে নিতে হয় | hair care tips

সাধারণ ভাবে অনেকেই মনে করেন, চুলের যত্ন শুধু মেয়েদের জন্যই প্রযোজ্য। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে,  চুলের সমস্যা ছেলেদেরও কম নয়, বিশেষ করে ছেলেদের চুল পড়া সমস্যা মেয়েদের তুলনায় অনেক বেশি। তবু অনেক  ছেলেদের ভিতর চুলের যত্নের বিষয়টাতে উলাসিনতা দেখা, যায় যা পরবর্তীতে নানা ধরনের জটিল সমস্যার কারণ হয়ে দাড়ায়।

কিন্তু চুলের যত্নের ব্যাপারে অনেক ছেলেই উদাসীন থাকে। এতে পরবর্তীতে গিয়ে তাদের চুলে নানা ধরণের সমস্যা দেখা যায়। চুল পড়া  সমস্যার পাশাপাশি, চুল রুক্ষ হয়ে যাওয়া, চুলের সৌন্দর্য নষ্ট হওয়া, তৈলাক্ত চুল, ভয়াবহ খুশকিসহ  অনেক সমস্যা ছেলেদের মাঝে দেখা যায়। এছাড়াও , সাধারণত ছেলেরা মেয়েদের তুলনায় বেশি সময় ঘরের  বাইরে থাকে, তাই এদের চুলের রুক্ষতার সমস্যা মেয়েদের তুলনায় অনেক বেশি।তাই প্রত্যেকটা ছেলেরই জানা উচিত,ছেলেদের চুলের যত্ন কীভাবে নিতে হয়?

ছেলেদের চুলের যত্ন কীভাবে নিতে হয় | hair care tips


ছেলেদের চুলের যত্ন কীভাবে নিতে হয় | hair care tips

 

ছেলেদের চুল নিয়ে আরও একটি সমস্যা হচ্ছে টাক পড়ার প্রবণতা। আরও ভয়াবহ দিক হচ্ছে আজকাল অল্প বয়সী ছেলেদের মধ্যেও টাক পড়ার প্রবণতা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় অ্যান্ড্রোজেনিক অ্যালোপেসিয়া বা বাংলায় টাক পড়া একই কথা। শুরুতে কপালের  দুইপাশের রোগের  কাছ থেকে শুরু হয় এবং ক্রমেই বাড়তে থাকে মাথার সামনের দিকে এবং এরপর ধীরে ধীরে পিছনের দিকে ছড়িয়ে পড়ে। যার ফলে একটা সময় বেশির ভাগ মানুষেরই পুরো মাথার চুল পড়ে যায়। প্রধানত বংশগত বা হরমোনজনিত কারণে মানুষের মাথায় টাক পড়ে। এছাড়াও গবেষণায় দেখা গেছে অল্প বয়সে চুল পড়ার জন্য অনেকাংশেই দায়ী থাকে থাইরয়েড গ্রন্থির অসুখ। রক্তস্বল্পতা, ওজন কমানোর জন্য খাওয়া দাওয়া একদমই কমিয়ে দেওয়া ইত্যাদিও টাক পড়ার কারণ হতে পারে। মনে রাখতে হবে চুলের পুষ্টি আসে ত্বকের পুষ্টি থেকে।পর্যাপ্ত পুষ্টির জন্য ভালো খাবার খাওয়া অত্যাবশ্যক। এছাড়াও চুল ভালোভাবে পরিষ্কার না করা, বেশি দুশ্চিন্তা করা ইত্যাদি কারণেও মাথায় টাক পড়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। তবে আশার কথা বর্তমান সময়ে চিকিৎসাবিজ্ঞানের অগ্রগতির ফলে  চুল পড়া ভালো ট্রিটমেন্ট করা সম্ভব।

মূলত প্রায় একই কারণে মাথায় টাক পড়া ও মাথার চুল পেকে যাওয়ার সমস্যাগুলো হয়ে থাকে। তাই জানা উচিত ছেলেদের চুলের যত্ন কীভাবে নিতে হয়?

চুলের যত্নে করণীয়

ছেলেদের চুলের যত্নে বেশ কিছু বিষয় লক্ষ্য রাখা অত্যন্ত প্রয়োজন।  নিয়মিত চুল আঁচড়ানো বিশেষ প্রয়োজন। নিয়মিত চুল আঁচড়ালে খুশকি হওয়ার প্রবণতা অনেকাংশেই কমে যায়।  আগেই বলেছি চুলের পুষ্টি আসে  ত্বকের পুষ্টি থেকে, তাই ত্বকের পুষ্টির জন্য পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার কোন বিকল্প নেই।

শরীরের মত চুল পরিষ্কার রাখাও জরুরি। নিয়মিত চুল পরিষ্কার রাখতে হবে কারণ অপরিচ্ছন্ন চুলে খুশকি হওয়ার প্রবণতা বেশি। এছাড়াও চুলের গোড়ায়  দীর্ঘদিন  জমাকৃত ময়লা থেকে নানা ধরনের ব্যাকটেরিয়ার জন্ম হয় যা মাথার ত্বকের জন্য ক্ষতিকর  আর মাথার ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হলে চুল ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মাথায় খুশকির প্রবণতা বেশি হলে অবশ্যই চিকিৎসকদের দ্বারস্থ হতে হবে কেননা অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় খুশকির মত দেখা গেলেও আসলে তা খুশি নয়। মূলত এটি ভিন্ন ধরনের চর্মরোগ। তাই দীর্ঘদিন খুশকির উপস্থিতি থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হয়।

চুলের যত্নে পেঁয়াজের রস, ডিমের সাদা অংশ ও কুসুম, লেবুর রস , এরকম আরো অনেক ঘরোয়া উপাদান ব্যবহার করা যায়। ভেষজ নানা  উপকরণের দ্বারা হেয়ার প্যাক বানিয়ে ব্যবহার করলেও চুলের বিশেষ উপকার পাওয়া যাবে। সপ্তাহে একদিন মেহেদী ব্যবহার করেও ভালো উপকার পাওয়া যায়।

ছেলেদের মধ্যে চুলে তেল দেওয়ার প্রবণতা খুবই কম। বিশুদ্ধ তেল চুলের জন্য খুবি  উপকারী।মাথায় তেল লাগানোর সময় আঙ্গুল দিয়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে মেসেজ করতে হবে। এটি মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন  বৃদ্ধি পেতে 

সহায়তা করে। আবার অনেকেই হেয়ার জেল অথবা স্প্রে ব্যবহার করেন।  বেশি সময় ধরে হেয়ার জেল বা  স্প্রে ব্যবহার করা চুলের জন্য ক্ষতিকর কারণ হেয়ার জেল বা স্পে ময়লা ও ধূলিকণা চুলে জমতে  সাহায্য করে। এতে মাথার ত্বক এবং চুল ক্ষতিগ্রস্ত হয় সুতরাং আমাদের উচিত হবে হেয়ার জেল স্প্রে ব্যবহার করলে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তা ভালোভাবে ধুয়ে মাথার চুল পরিষ্কার রাখা।

প্রচুর পানি পান করা যেমন শরীরের জন্য উপকারী তেমনি চুলের শক্ত গড়নের জন্য ভালো। চা-কফি, সিগারেট, মদ ইত্যাদি অতিরিক্ত সেবন চুলের জন্য ক্ষতিকর।

আমাদের অনেকেরই অভ্যাস আছে সেলুনে মাথা ম্যাসেজ করার। মনে রাখতে হবে অতিরিক্ত প্রেসার চুলের জন্য ক্ষতিকর। মেসেজ করার সময় যদি চুলে অতিরিক্ত টান পড়ে তা থেকে  চুলের গোড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

একটি ভালো শ্যাম্পু ব্যবহার ভালো চুলের জন্য খুবই জরুরী। বাজারে ছেলেদের জন্য বিভিন্ন ব্র্যান্ডের শ্যাম্পু রয়েছে। চুলের ধরন অনুযায়ী উপযোগী শ্যাম্পু বেছে নেওয়াটা অত্যন্ত জরুরি।দীর্ঘদিন ভুল শ্যাম্পু ব্যবহার চুলের ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে।

আরও পড়ুন...

আমরা অনেকেই শ্যাম্পু করার পর সুন্দর চুলের জন্য কন্ডিশনার ব্যবহার করে থাকি।এতে চুল ঝরঝরে হয়ে ওঠে । কন্ডিশনার ব্যবহার না করেও এক মগ পানিতে লেবুর রস দিয়ে ধুয়ে নিলে একি উপকার পাওয়া সম্ভব। লেবুর ব্যবহার তুলনামূলকভাবে বেশি উপকারী কেননা লেবুর রস খুশকি দূর করতেও সাহায্য করে। কন্ডিশনার ব্যবহারের ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে কন্ডিশনার যেন চুলের গোড়া এবং মাথার ত্বকে না লেগে থাকে।

ছেলেদের চুলের জন্য কোন তেল সবচেয়ে ভালো

ছেলেদের চুলের যত্ন কীভাবে নিতে হয় | hair care tips


চুলের যত্নে তেল এর ব্যবহার নতুন কিছু নয়। অতীতে চুলের যত্নে বিভিন্ন ধরনের তেলের ব্যবহার ছিল একমাত্র উপায়। কিন্তু বর্তমান সময়ে, বিশেষ করে ছেলেদের ক্ষেত্রে চুলে তেলের ব্যবহারে বিশেষ উদাসীনতা দেখা যায়।

নারিকেল তেল চুলের জন্য বিশেষ উপকারী। সাধারণত সকল প্রকার চুলেই এই তেল ব্যবহার করা যায়। নারিকেল তেলের বিশেষ ভেষজ গুণ চুলের গোড়া এবং মাথার ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে। নারিকেল তেল স্বাভাবিকভাবেই ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক প্রতিরোধী। তাই এই তেলের ব্যবহার মাথার ত্বককে ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক এর হাত থেকেও রক্ষা করে। নারিকেল তেল খুব ভাল মশ্চারাইজার হিসেবেও কাজ করে। এছাড়াও খুশকি দূর করতে, চুলের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এবং চুলের আগা গোড়া শক্ত করতে নারকেল তেল ভালো কাজ করে। তাই ছেলে মেয়ে সবার চুলের জন্যই নারকেল তেল বিশেষ উপকারী।

নারকেল তেল ছাড়াও আমন্ড অয়েল, অলিভ অয়েল. ক্যাস্টর অয়েল, তিলের তেল, আর্গান অয়েল, জোজোবা অয়েল ইত্যাদি তেল চুলের জন্য বিশেষ উপকারী।

ছেলেদের চুলের যত্নে ডিম

ছেলেদের চুলের যত্ন কীভাবে নিতে হয় | hair care tips


ডিম একটি খুবই সহজলভ্য কিন্তু পুষ্টিগুণে ভরপুর খাদ্য উৎস।এর যেমন রয়েছে খাদ্য চাহিদা তেমনি প্রাচীনকাল থেকেই চুলের যত্নে এটি ব্যবহৃত হয়ে আসছে অত্যন্ত উপকারী একটি মাধ্যম হিসেবে। ডিম মূলত আমিষ জাতীয় খাদ্য। এতে রয়েছে প্রচুর প্রোটিন, মিনারেল এবং ভিটামিন বি কমপ্লেক্স। এতো পুষ্টিগুণ থাকার কারণে খাওয়ার পাশাপাশি এটি চুলেব্যবহারেও পাওয়া যায় অনেক উপকার।  মূলত ডিমের ব্যবহারে চুলের গোড়া মজবুত করতে এবং চুল ঝরে পরা দূর করতে ব্যাপক সহায়তা করে।

এছাড়াও ডিমের সঠিক ব্যবহার চুলের পরিমাণ বাড়তে সাহায্য করে এবং একই সাথে চুলের ঘনত্ব বাড়িয়ে চুলকে করে তুলে আরো বলিষ্ঠ।  ডিমে প্রচুর প্রোটিন পাওয়া যায়। প্রোটিন চুলকে মজবুত ও ঝরে না যেতে সাহায্য করে।ডিমের ফ্যাট চুলকে পুনঃ পুনঃ গঠনে সহায়তা করে এবং চুলকে করে ঝলমলে ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল।

ডিমের সাদা অংশ এবং কুসুম দুটোই চুলের জন্য ভালো। তবে এক্ষেত্রে চুলের ধরন অনুযায়ী আপনাকে বেছে নিতে হবে কোন অংশ আপনি ব্যবহার করবেন। সাধারণত তৈলাক্ত চুলের ক্ষেত্রে ডিমের সাদা অংশ ব্যবহার 

করা হয়। ডিমের সাদা অংশ প্রাকৃতিক তেল উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করে এবং চুলের পুষ্টি যোগায়। ডিমের সাদা অংশে রয়েছে প্রচুর প্রোটিন এবং মিনারেল। মিনারেল সব প্রকার চুলের বৃদ্ধিতে সহায়ক হিসাবে কাজ করে। 

অন্যদিকে ডিমের কুসুমে রয়েছে প্রোটিনের পাশাপাশি ভিটামিন বি কমপ্লেক্স। ভিটামিন বি কমপ্লেক্স চুলের খাদ্য হিসেবে সুপরিচিত। কুসুমে রয়েছে চর্বিজাতীয় এক ধরনের বস্তু, তাই এটি চুলের কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে। এই কারণেই শুষ্ক চুলের ক্ষেত্রে ডিমের কুসুম বা  হলুদ অংশ বেশি ব্যবহৃত  হয়ে থাকে। 

এছাড়াও শুধু ডিম চুলে ব্যবহার না করে কিছু ঘরোয়া উপাদান ডিমের সাথে মিশিয়ে আরো ভেষজ গুণসম্পন্ন হেয়ার প্যাক তৈরি করা সম্ভব, যা আপনার চুলকে করবে  আরো উপকৃত।

আরও পড়ুন.........

ছেলেদের বড় চুলের যত্ন

ছেলেদের চুলের যত্ন কীভাবে নিতে হয় | hair care tips


ছেলেদের সারাদিন বাইরে ছোটাছুটি করতে হয়। ঘরের বাইরে বেশি সময় থাকার কারণে এমনিতেই ছেলেদের চুল অপেক্ষাকৃত বেশি রুক্ষ হয় আর চুল লম্বা হলে সে ক্ষেত্রে সমস্যা আরো বেশি। চুল বড় করার কারণে ছেলেরা নানা সমস্যায় পরেন। বিশেষ করে বড় চুলে চুল পড়ার সমস্যা বেশি দেখা দেয়। এছাড়া রুক্ষতা, তৈলাক্ততা আর খুশকির সমস্যা তো আছেই।

বড় চুলের ক্ষেত্রে চুল পরিষ্কার রাখা খুবই জরুরি কারণ চুল বড় হওয়াতে  ধুলোবালি ও  ময়লা খুব সহজেই চুলে আটকে থাকে। চুল পরিষ্কার করার জন্য মেডিকেটেড শ্যাম্পু ব্যবহার করা জরুরি। নিয়মিত চুল ধোয়া আবশ্যক।এতে  চুলের গোড়ায় অক্সিজেন প্রবেশ ও হাইড্রোজেন নির্গমনের ব্লগ গুলো খুলে যায়। ফলে চুল পরিপূর্ণ পুষ্টি পায় এবং  এতে চুলের বৃদ্ধি ভালো হয়। নতুন চুল গজানোর ক্ষেত্রে পেঁয়াজের রস খুব ভালো সমাধান। এছাড়াও মেথির পেস্ট  সঙ্গে টক দই দিয়ে হেয়ার প্যাক তৈরি করে দিতে পারেন। মেথি চুলকে নরম এবং শাইনিও  করতে সাহায্য করে। আপনি চাইলে পাকা কলার পেস্ট, এক  টেবিল চামচ মধু,  এক টেবিল চামচ লেবুর রস দিয়ে হেয়ার প্যাক তৈরি করেও মাথায় ব্যবহার করতে পারেন। এটি ছেলেদের চুলের রুক্ষতা দূর করতে সাহায্য করে।

ছেলেদের জন্য শ্যাম্পু

ছেলেদের চুলের যত্নের জন্য শ্যাম্পু একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ছেলেদের শ্যাম্পু পাওয়া যায়। আবার  বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন শ্যাম্পুও রয়েছে। আপনার চুলের ধরন অনুযায়ী শ্যাম্পু নির্বাচন করা জরুরি।

বাজারে ছেলেদের যে  শ্যাম্পু গুলোর পাওয়া যায় তার মধ্যে ক্লিয়ার মেন, হেড এন্ড শোল্ডার, ফ্লেকস ,পেন্টিন, গার্নিয়ার ম্যান ও ডাভ বেশ জনপ্রিয়। এগুলো ছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন ধরনের হারবাল শ্যাম্পু। যেমন  সানস্লিক, চিক ও নিউট্রিসাইন সহ বিভিন্ন ধরনের রয়েছে।

শীতে ছেলেদের চুলের যত্ন

শীতকালে ত্বকের মতোই চুলেরও বেশি যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। শীতকালে খুশকির উপদ্রব অনেক বেড়ে যায়। যার ফলে চুলের  রুক্ষতা পাশাপাশি শুষ্ক হয়ে ফলে ডগা ফাটা, খুশকি ইত্যাদি সমস্যা বেশি দেখা দেয়। এছাড়াও শীতকালে ধুলাবালি বেশি হওয়ায় চুল ময়লা হয় বেশি । আর এতে চুলের মলিনতা হ্রাস পায়।

শীতকালে চুল পরিষ্কার রাখা খুবই জরুরি। তাই নিয়মিত শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুতে হবে এবং কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে। চুলে নিয়মিত তেল দিয়ে মেসেজ করতে হবে। চুলকে অতিরিক্ত পুষ্টি দিতে সপ্তাহে একদিন হলেও ডিমের কুসুম অথবা  সাদা অংশ প্রয়োজন মত ব্যবহার করা গেলে উপকার পাওয়া যাবে।

শীতের দিনে রুক্ষ চুলের আরেকটি সমস্যা হচ্ছে চুলের ডগা ফাটা। তাই ডগা ফাটলেই  চুল ট্রিম বা ডগা ছেটে নিতে হবে।

ছেলেদের চুলের কাটিং

একটি ভালো হেয়ার কাটিং বা চুলের কাটিং আপনার ব্যক্তিত্বের উপর আলাদা প্রভাব ফেলে। একটি ভালো  হেয়ার কাটিং ছাড়া  আপনার চুলের যত্ন অনেকাংশেই বিফল। আপনার মুখের গঠন এবং চুলের বৈশিষ্ট্যের উপর নির্ভর করে উপযুক্ত একটি হেয়ার কাটিং সিলেক্ট করতে হবে। এর জন্য আপনি একজন হেয়ার স্টাইলিস্ট অথবা অভিজ্ঞ সেলুনের বা  জেন্টস পার্লারের দ্বারস্থ হতে পারে পারেন।

এই বিষয়ে আরও কিছু জানার থাকলে আমাদেরকে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। লেখাটি ভাললাগলে শেয়ার করতে পারেন। ধন্যবাদ।



Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url